Saturday, November 21, 2015

সফল সবাই হতে চাই আমরা

সফল সবাই হতে চাই আমরা কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সবাই হতে পারি না যারা হন, তাদের দূর থেকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলি কখনও কি ভেবে দেখেছেন, তাদের সাথে আপনার পার্থক্য কি? ঠিক কি কারণে আপনি হতে পারছেন না তাদের মতো? 
.....................................................
সফল না হওয়া বা ব্যর্থ হওয়ার কারনঃ 
----------------------------------------- 
সফল না হওয়া বা ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারন আমাদের চিন্তাভাবনা গুলো... এমন কিছু চিন্তা যা শুরুতেই আপনাকে সাফল্য থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এগুলো থেকে বের হতে পারলে অর্ধেক পথ এগিয়ে যাবেন
আমার সুযোগ নেই
-------------------
সুযোগ কি নিজে থেকে কখনও এসেছে কারও কাছে? না। যে যেটার যোগ্য নয়, সে সেটার সুযোগ পাবে না। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। তাই সুযোগ আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে।
দশ বছর আগে হলেও একটা কথা ছিল। আপনি সাধারণ একটি পরিবারের সাধারণ সন্তান হলে অপেক্ষায় থাকতেন কখন নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ আসবে, ভাগ্যের চাকার ঘুরবে।
কিন্তু আজকের দিনে এই ধারণা বাতিল। ইন্টারনেট নিয়ে এমন কিছু নেই যা করা যায় না। ব্যবসার মূলধন নেই? ফেসবুক স্টোর খুলুন। দক্ষতা নেই? অসংখ্য অনলাইন কোর্স আছে বিনামূল্যে। বিদেশ যাবেন? ঘরে বসে আবেদন করা থেকে শুরু করে ভাষা শেখাসব করুন। নতুন কিছুর আইডিয়া দরকার? প্রচুর ক্যাম্প হচ্ছে, তরুণদের গেট-টুগেদার হচ্ছেস্বত্বঃস্ফূর্ত অংশ নিন।
এরপরও যদি মনে হয় আপনিসুযোগপাচ্ছেন না, তাহলে দুঃসংবাদ। আপনার মধ্যে চেষ্টা করার মানসিকতা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজে সুযোগ তৈরি করছেন, ততক্ষণ সাফল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে
আমার দোষ নেই
-------------------
হয়তো কেউ আপনার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে, আইডিয়া চুরি করেছে। সাপ্লায়ার হয়তো টাকা মেরে দিয়েছে। ব্যবসার সঙ্গী প্রতারণা করেছে। কিংবা ক্রেতারা হয়তো আপনার পণ্যের উপকারিতা বুঝতে পারেনি।
দোষ কি তাদের দেবেন? না। মনে রাখবেন, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আপনার নেই। শুধু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনি। তাই কেন অর্থহীন দোষারোপ করবেন?
ব্যর্থতা যে কারণেই আসুক না কেনমেনে নিন ভুল আপনার ছিল। এই চিন্তা শুধু নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া না, অন্তত নব্বুই ভাগ ক্ষেত্রে এটাই সত্য।
নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার অনেক বড় একটা গুণ, যা সফল মানুষদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে দেয়। এর ফলে তারা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। এক ভুল আবার করেন না।
আর যদি না- পারেন সেটা, তাহলে ধরে নিতে পারেন পরের দশ বছরও এভাবে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কাটাতে হবে
এত সময় কোথায়?’
-------------------
সময় আছে। বিল গেটসের কাছে যত সময় ছিল, আপনার কাছেও আছে। এই সময়কে কিভাবে কাজে লাগাবেন সেটা হচ্ছে কথা।
সময় পূর্ব নির্ধারিত কিছু নয়। এটি নিজের মতো চলবে, আপনাকে সেটার সদ্ব্যবহার করতে হবে। সদ্ব্যবহার মানে এই না যে সারাদিন কাজ করতে হবে। আপনি যা অর্জন করতে চান, সেটাকে সবার উপরে রেখে তারপর বাকি সময় সাজাতে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিদের একটি কমন বিষয় সময় নিয়ে সচেতনতা। নিজেদের ইচ্ছা বাস্তব করার জন্য যত সময় দরকার তারা দিয়েছেন। স্টিভ জবস যদি পড়াশোনাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিতেন আরঅবসরসময়ে কাজ করতেন তাহলে কি অ্যাপল দাঁড়াতো?
যা হতে চান, তার জন্য যত ইচ্ছা সময় ব্যয় করুন। এরপরও যদি মনে হয় সময় বের করতে পারছেন না, তাহলে চেষ্টাটি বাদ দেওয়াই ভালো
এটা হলে ওটা করতাম
-----------------------
আমি যদি আরেকটু বেশি বেতন পেতাম, তাহলে আরও বেশি পরিশ্রম করতাম।’ ‘আমার যদি আরেকটু অভিজ্ঞতা থাকতো, তাহলে অবশ্যই নিজে কিছু করতাম।
কথাগুলো উলটো হয়ে গেল, তাই না?
পরিশ্রম করার কারণেই পদোন্নতি হয়, বেতন বাড়ে। সোজা কথায়, বেশি বেতন অর্জন করে। নিজে কিছু চেষ্টা করার ফলে অভিজ্ঞতা হয়, একসময় সাফল্য আসে। এটাও অর্জন করতে হয়।
এই খুব সাধারণ সমীকরণটি আমরা বুঝেও যেন বুঝি না। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে বসে থাকি, অর্থাৎ কাজে নামার আগেই বিনিময় আশা করি।
সাফল্য বা বিনিময়কে পুরস্কার হিসেবে চিন্তা করুন। প্রতিযোগিতায় আগে নামতে হবে, তারপর পুরস্কারের প্রশ্ন। এভাবে চিন্তা করতে না পারলে বেশি বেতন বা অভিজ্ঞতার আশায় হতাশ হয়ে বসে থাকতে হবে
আমার কোনো বিশেষ কোনো গুণ নেই
-----------------------------------------
সফল ব্যক্তিদের অসাধারণ কিছু গুণ থাকে। আইডিয়া, ট্যালেন্ট, উতসাহ, দক্ষতা, সৃজনশীলতাএর কোনোটাই আমার নেই।
এভাবে চিন্তা করা খুব সহজ নিরাপদ। সেজন্যই সম্ভবত আমরা এভাবে চিন্তা করে আগেই অবসর নিয়ে বসে থাকি।
অথচ এর চেয়ে ভুল চিন্তা আর হতে পারে না। মেধা বিকাশের জিনিস, চর্চার জিনিস। কেউ এমন কোনো ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না তাকে নিজে নিজে সফল করে। একটু একটু করে চেষ্টা করে নিজের গুণকে বিকশিত করতে হয়, মেধা যাচাই করতে হয়। এর চূড়ান্ত ফলাফলের নাম সফলতা।
শচীন টেন্ডুলকারের মতো ক্রিকেটের মেধা নিয়ে আপনি জন্মাননি। তাই বলে কি ফুটবলের গুণ থাকতে পারে না? যতক্ষণ না যাচাই করে দেখছেন, কিভাবে বুঝবেন?
ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও একইভাবে চিন্তা করে দেখুন। সবচেয়ে সাধারণ গুণটি নিয়েই লেগে থাকলে নিজের জায়গায় টেন্ডুলকার হওয়া কেউ আটকাবে না।
মনে রাখবেন, চর্চা দিয়েই সবচেয়ে সাধারণ গুণটি অসাধারণ হয়ে ওঠে। আর মানুষ হিসেবে মস্তিষ্ক মন যেহেতু সবার আছে, তাই এই সাধারণ গুণটি সবারই আছে। কাজ শুধু নিজেকে বিশ্বাস করা
............................................................
সফল হতে হলে কতিপয় বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবেঃ -- 
----------------------------------------------------
১। কাজ বরার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২। যখন একটি কাজ শেষ হবে তখন অন্য কাজে হাত দেওয়ার চিন্তা করতে হবে।
৩। সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না।
৪। নিজেরে ইচ্ছার প্রধান্য দিলে হবে না।
৫। দূষনীয় অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
৬। ভালোমন্দ বিচার করতে হবে।
৭। সর্বক্ষেত্রে বিচার বুদ্ধির ক্রিয়া প্রকাশ করতে হবে।
৮। জীবনে যারা প্রতিষ্টা অর্জন করেছেন তাদের শিক্ষাকে সর্বদা মনে স্থান দিতে হবে।
৯। হেয়ালিপনার বশবর্তি হয়ে কাজ করা যাবে না। সর্বক্ষেত্রে নিজের ওজন বজায় রাখতে হবে।সঠিক কাজের মূল্য সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে। কোন কাজে অমোনোযোগী হলে চলবে না।
১০। যা সম্ভব নয় এরূপ চিন্তা নিয়ে মগ্ন থাকলে চলবে না। 
১১। উত্তেজনায় অনেক সময় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয় এটা মনে রাখতে হবে।
১২। নিজেরে কৃতিত্ব জাহির না করা
১৩। বেশীকথা বলে কোন অনুষ্টানকে ফেলাটে না করা।
১৪। ভদ্রতা জ্ঞান থাকতে হবে। হিংসা-বিদ্ধেষ পরিহার করতে হবে,নম্রতা খোশমেজাজী হতে হবে।
১৫। এরূপ কোন আচরন থাকতে না চরিত্রে যার দ্বারা প্রকাশ পায় চরিত্রের কদর্য রূপ। 
১৬। প্রতারনা প্রবঞ্চনা কোন কাজে যেন ভুলক্রমে না দেখা দেয়।
১৭। ভালবাসা স্নেহ মমতা বোধ সকলের জন্য,এরূপ কথার তাৎপর্য কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে।
১৮। সুন্দর আদশের প্রতি-দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে।
১৯। অন্যায় আচরন করা থেকে বিরত থাকতে।
২০। নিজের মধ্যে দোষ রেখে অন্যের সমালোচনা করা যাবে না,কোন অন্যায় করলে ক্ষমা প্রথনা করতে হবে।
২১। নিজের স্বার্থের চাইতে অপরের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে


No comments:

Post a Comment