Monday, October 30, 2017

অনুপ্রেরনামুলক বাক্য

(১) কারো মুখোশ খুলে যাওয়ায় কষ্ট পেয়ে ভেঙ্গে পড়ো না, ... বরঞ্চ তাদের বিষাক্ত সাহচর্য থেকে মুক্ত হতে পেরেছো বলে স্বস্তির নি:শ্বাস নাও।।।
(২) তুমি কি সেটা কেবলমাত্র তোমার পক্ষেই উপলব্ধি করা সম্ভব।। সুতরাং তোমার সম্পর্কে মানুষ কি ধারনা করছে বা কে কি বলছে তা নিয়ে বিচলিত হয়ো না। ........ বাইরে থেকে না বোঝা গেলেও একমাত্র ঝিনুকই জানে তার ভিতরের মুক্তার উপস্থিতি।।।।
(৩) " দূর হোক মনের দারিদ্রতা আসুক মানসিক স্বচ্ছলতা "
(৪) কৃত ভুলের জন্য একজন মানুষকে বার বার দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়!!! ........ ঘা শুকানোর জন্য সময় না দিয়ে খোঁচাখুঁচি শুরু করলে তা আরো বিকট আকার ধারন করে।।।
(৫) হিংসা এবং লোভ হলো চোখের ছানির মতো, যতো বাড়ে ততোই বিবেকের চোখ অন্ধ হতে থাকে।
(৬) সুস্থতা আল্লাহতালার সবচাইতে বড় নেয়ামত...এই নেয়ামতের ব্যতিক্রম ঘটলেই জীবনে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসে।
(৭) অন্যের দূর্বলতা নিয়ে উপহাস করবেন না।.. মনে রাখবেন যে কোনো সময়ে আপনিও উপহাসের পাত্রে পরিণত হতে পারেন।
(৮) স্বল্প পরিচয়েই কাউকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করা বোকামি, তাতে ভালোর চাইতে মন্দ হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
(৯) জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেয়ার আগে একাধিকবার ভেবে নিবেন.....নতুবা আপনার হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্তের জন্য আজীবন আফসোস করতে হবে।
(১০) অহংকার / রাগ/ হিংসা/ লোভ পরিহার করা বাঞ্ছনীয় । এরা আমাদের কোনো উপকারে আসে না বরং এদের প্রভাবে আমাদের মানবিক গুণাবলী সমূহ হারিয়ে যায়।
(১১) ভালোবাসার মানুষদের কখনো পর করবেন না। বিপদের সময় একমাত্র তারাই আপনাকে ঢালের মতো আগলে রাখবে।
(১২) নিজেকে ভালোবাসুন...... যে নিজেকে ভালবাসে সে পৃথিবীর সবকিছুকেই ভালবাসতে পারে।।।
(১৩) অর্থ বিত্তের উত্তাপে আমরা অনেকেই আশেপাশের মানুষদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকি, ভুলে যাই যে অহংকার পতনের মূল....... ঘুড়ি যতো উপরেই উঠুক না কেনো লাটাইধারী যেকোনো সময়ে তাকে গোত্তা খাওয়াতে পারে।।
(১৪) আমাদের ভালবাসার সর্ম্পকের মানুষেরা জীবনের সবচাইতে বড় আশীর্বাদ। যার তা নেই সেই কেবল জানে সর্ম্পকগুলির মূল্যায়ন কতটা অপরিহার্য। ......... বেঁচে থাকতে হলে প্রতিটি মূহুর্ত বাতাসের প্রয়োজন কিন্তু যখন আমাদের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তখনই কেবলমাত্র আমরা তা উপলব্ধি করতে পারি।।
(১৫) আমি ভালো আছি কারন জীবনের চলার পথে কিছু কথা আমি আমার দৈনন্দিন চর্চ্চায় নিয়ে নিয়েছি...
১) অতীত নিয়ে ভাববো না,ভবিষ্যৎ নিয়েও নয়। শুধুই বর্ত্তমান।
২)কারো কাছেই এক্সপেকটেশন রাখবো না। যতোটা সম্ভব নিজেকে রিলাক্স রাখবো, দায়িত্ব পালন করবো কিন্তু কে খুশি হলো আর কে খুশী হলো না এনিয়ে মাথা ঘামাবো না।
৩)মানুষকে খুশি করা প্রায় অসম্ভব তাই খুশী করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো আল্লাহ্‌ কে ... যার অনুগ্রহে আমার ইহকাল পরকাল সব।। "
(১৬) বিশ্বাসের ঘরে চুরি একটি অমার্জনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সব বিচার ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়া গেলেও সৃষ্টিকর্তার আদালতে ভয়ংকর শাস্তি অবধারিত।। ............ সেখানে প্রত্যক্ষদর্শী বিচারক স্বয়ং
(১৭) সমস্যার প্রতিকূলতায় ঘাবড়ে যেও না। সমস্যার মাঝেই সমাধান লুকিয়ে থাকে প্রয়োজন শুধু ঠাণ্ডা মাথায় তা খুঁজে বের করা। .... গোলকধাঁধায় পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন।। কিন্ত পথ গোলকধাঁধাতেই লুকিয়ে থাকে!!
(১৮) ব্যাহিক রুপে মোহিত হয়ে অন্তরের সৌন্দর্যের কথা ভুলে যেও না।।। ....ফরমালিন যুক্ত ফল চকচকে দেখালেও ভিতর কিন্তু বিষাক্ত!!




Thursday, February 9, 2017

যেভাবে আপনি ধনী হবেন


ধনী হওয়ার পথটা কোনো গোপন বিষয় নয়। ধনী মানুষদের বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া গেছে তার মধ্যে আছে একনিষ্ঠ পরিশ্রম আর কয়েকটি মূলমন্ত্র। লটারির টিকিট কেনার মতো সহজ পন্থায় সবাই ধনী হতে চায়। কিন্তু বাস্তবে তা খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জোটে। বাস্তবে যে মূলমন্ত্র দিয়ে মানুষ ধনী হয়, তা থাকছে এ নিবন্ধে।


ধনী হওয়ার পথটা কোনো গোপন বিষয় নয়। ধনী মানুষদের বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া গেছে তার মধ্যে আছে একনিষ্ঠ পরিশ্রম আর কয়েকটি মূলমন্ত্র। লটারির টিকিট কেনার মতো সহজ পন্থায় সবাই ধনী হতে চায়। কিন্তু বাস্তবে তা খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জোটে। বাস্তবে যে মূলমন্ত্র দিয়ে মানুষ ধনী হয়, তা থাকছে এ নিবন্ধে। 

১. শূন্য থেকে শুরু করে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠুন 

বহু সফল ব্যক্তি খালি হাতেই তাদের কাজ শুরু করেছিলেন। স্টারবাকস প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাওয়ার্ড স্কুলজ ও গোল্ডম্যান সাক্স-এর সিইও লয়েড ব্ল্যাংকফেইন বড় হয়েছেন এভাবেই। প্রতিযোগিতা ও দুর্ভাগ্য তৈরি করে বড় নেতা। 

২. যা ভালো লাগে, তাই করুন 

আপনার নিজের ভালোলাগার বিষয় করুন এবং তার বাজারের জন্য প্রার্থনা করুন। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো কাজের একমাত্র উপায় হল নিজের কাজকে ভালোবাসা। আপনি যদি এটা না পেয়ে থাকেন তাহলে খুঁজতে থাকুন। স্থীর হবেন না।’ তিনি ঠিকই বলেছিলেন। আপনি যদি নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তাহলে গ্রাহকরাও আপনাকে খুঁজে বের করবে। আর এভাবে টাকাও খুঁজে বের করবে আপনাকে। 

৩. সিলিকন ভ্যালি অনুসরণ করুন 

যুক্তরাষ্ট্রের হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির কেন্দ্র সিলিকন ভ্যালি বহু মানুষের ভাগ্য ফিরিয়েছে। শুধু প্রধান নির্বাহীরাই নয়, বহু চাকরিজীবীও এখানে খুব ভালো আছেন। এর কারণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে বহু মানুষের সমৃদ্ধির সোপান। 

৪. নিজের ব্যবসা শুরু করুন, সন্নাসীর মতো থাকুন 

নতুন ব্যবসা শুরু করে নিজে একজন সন্নাসীর মতো জীবন নির্বাহ করুন। আমেরিকার মিলিয়নেয়ারদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ অবস্থায় এসেছেন। তাদের অধিকাংশই আবার ছোট ব্যবসা করেন আর তাদের সামর্থের চেয়ে কম অর্থে জীবন নির্বাহ করেন। তবে তাদের অর্থ তারা আবার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সাধারণত তারা পূর্বপুরুষের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাননি। তাই কেনার আগে আরেকবার চিন্তা করুন- আপনার কি নতুন গাড়ি বা দামি যন্ত্রটা লাগবেই? 

৫. ঝুঁকি নিন, ভুল করুন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন

 অধিকাংশ মানুষ অবিবেচনাপ্রসূত অথবা সাধ্যের অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেলে, যা তাদের নেয়া উচিত নয়। তার বদলে স্মার্ট ঝুঁকি নিতে হবে, যা বাস্তবে পূরণ করা সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যান। ভুল হলেও তা স্বাভাবিক। আঘাত না পেয়ে কেউ সামনে এগোতে পারে না। 

৬. অনেক ত্যাগ করে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করুন 

ইয়াহুর সিইও মেরিসা মেয়ার খুবই পরিশ্রমি একজন নারী। তিনি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করেন। আর এলন মাস্ক দুটি প্রতিষ্ঠা চালান। একই বিষয় প্রযোজ্য ছিল স্টিভ জবসের ক্ষেত্রে। তিনি অ্যাপল ও পিক্সার চালাতেন। আপনি যা বিনিয়োগ করবেন তার ফলাফল পাবেন। 

৭. নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করুন 

এটা বলা হয় যে, সুযোগ যখন প্রস্তুতির সঙ্গে মিলে যায় তখন সৌভাগ্য আসে। আমি খুব ভাগ্যবান - এ কথার পাশাপাশি এটাও সত্য যে আমি ভাগ্য খোঁজার কাজে কখনো থামিনি। আর যখনই কোনো সুযোগের আশা মিলেছে তা হারাইনি। এ কারণে অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে বাস্তব জগতের সফল মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। 

৮. স্থিতিশীল বিবাহিত জীবন 

বিয়ে ভাঙার পর বহু ধনী মানুষের সম্পত্তি কমে গেছে। এ কারণে ধনী হওয়া ও থাকার জন্য স্থিতিশীল বিবাহিত জীবন গুরুত্বপূর্ণ। 

৯. বৈচিত্র্য আনুন 

বহু ধরনের ধারণা আনুন নিজের কাজে। এতে অনেক কষ্ট ও সময় ব্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে কষ্ট হলেও ভবিষ্যতে এর সুফল অবশ্যই পাবেন 

৩টি ভয় আপনার ব্যর্থতার কারণ

সফল হতে কে না চায়? কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জীবনে সফলতা যেন সোনার হরিণ। যে কাজেই হাত দেন তারা, ব্যর্থ হন। না তাদের দিয়ে ব্যবসা হয়, না টেকে কোন চাকরি। চতুর্দিক থেকে ব্যর্থতার ধিক্কার তাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে।  

 কিন্তু এর মানে কি এই যে, তাদের মেধা নেই? মেধা সব মানুষেরই আছে। কেউ তা কাজে লাগাতে পারেন আর কেউ পারেন না। আপনি নিজেই হয়তো নিজেকে পেছনে টানছেন, এগিয়ে যেতে দিচ্ছেন না। অবাক হচ্ছেন? জেনে নিন, কীভাবে আপনি নিজেই নিজের সফলতাকে বাঁধাপ্রাপ্ত করছেন-   

ব্যর্থতার ভয় 

আপনি যদি সারাক্ষণ ভয়েই থাকেন যে আপনি ব্যর্থ হবেন তাহলে আপনি এগোতে পারবেন না। আপনাকে সাহস করে ঝুঁকি নিতে হবে। নাহলে যেমন ব্যবসা করা যাবে না তেমনি করা যাবে না চাকরিও। অনেকে মনে করেন, চাকরিতে কোন ঝুঁকি নেই। আসলে তা নয়। চাকরিক্ষেত্রেও নিজেকে প্রমাণ করতে অনেক কাজ নিজেই সাহসের সাথে এগিয়ে করতে হয়। নাহলে থমকে থাকে ক্যারিয়ার। অনেক সময় হতে হয় চাকরিচ্যুত।   

সময় চলে যাওয়ার ভয় 

আপনার মাঝে সব সময় একটা তাড়া কাজ করে। আপনি ভাবেন এক্ষুনি কাজটা না করলে হয়ত আর করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনি পরিস্থিতিকে বিবেচনা করতে ভুলে যান। আপনার আভ্যন্তরীন গতি সময়কে অতিক্রম করে যায়। শান্ত হন। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।   

পরিবর্তনের ভয় 

আপনি অবাক হবেন এটা জেনে যে আপনি নিজেই চান না সফল হতে। আপনার মাঝে পরিবর্তনের ভয় কাজ করে। সফল হতে হলে আপনাকে নিজের জীবনের অনেক কিছুই বদলে ফেলতে হবে। অনেক অনিয়ম ত্যাগ করতে হবে। আপনি এই বদল মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু শ্রম না দিলে, কাজ অনুযায়ী পাল্টে না গেলে কি করে আসবে সফলতা? 

৮টি কৌশলে হয় উঠুন ব্যক্তিত্ববান মানুষ

একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষকে সবাই পছন্দ করে। আপনি কতটুকু ব্যক্তিত্ববান তা প্রকাশ পায় আপনার আচরণের মাধ্যমে। একজন রুঢ, ঔদ্ধত্য বোরিং মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আবার অতিরিক্ত কথা বলা মানুষকেও গুরুত্বহীন মনে করে। তাই নিজেকে অন্যদের কাছে  উপস্থাপনে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন গ্রহণ করতে হয়। কিছু কৌশলে আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন ব্যাক্তিবান একজন মানুষ।   

১। ইতিবাচক থাকুন       
যেকোন পরিস্থিতিতে আশাবাদী থাকুন। সমস্যা থাকলে তার সমাধান থাকবে, হতাশা না হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করুন। কর্মক্ষেত্রে যখন যে কাজ করবেন তা মনোযোগ সহকারে করুন। সহকর্মীদের সাথে ইতিবাচক কথা বলুন। তাদেরকে উৎসাহ দিন। 

২। ভালো শ্রোতা 
একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন। অন্যরা কী বলতে চায় তা শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বলার সময় চোখের দিক তাকিয়ে কথা বলুন। তাকে গুরুত্ব দিন। 

৩। নিজস্ব চিন্তা ভাবনা 
নিজের একটি সুন্দর ও পৃথক ব্যক্তিত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করুন। কারো অনুকরণ করে নয়, বরং সবাই যেন আপনাকে অনুসরণ করতে চায় সেভাবেই নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে নিজের মধ্যে ভাল কিছু গুণ তৈরি করুন।    

৪। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হোন 
নতুন নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হোন। বিশেষ করে যারা আপনাকে অপছন্দ করেন তাদের সাথে মেশার চেষ্টা করুন। আপনি যত নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশবেন তত নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন।   

৫। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন 
জীবনে চলার পথে কত ধরনের নেগেটিভ চিন্তাই না মনের মাঝে আসে। কিন্তু তাই বলে হতাশ হলে চলবে না। মনের মাঝে নেতিবাচক চিন্তাকে জায়গা না দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজেকে জানার চেষ্টা করুন। আপনিই পারবেন, এমন বিশ্বাস সৃষ্টি করুন মনের মাঝে। ফলে দেখবেন জীবন আর ব্যক্তিত্ব উভয়ই হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। 

৬। সম্মান করুন 
আপনি অন্যের কাছ থেকে যে সম্মান আশা করেন সেটি অন্যকে দিন। আপনার চাইতে নিচের পদের লোকদের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলুন। সে আপনার অধিনস্ত কর্মী হোক না কেন ঔদ্ধত্য আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন। 

৭। অন্যকে সাহায্য করুন 
অন্যকে সাহায্য করার মন মাসিকতা নিজের মধ্যে তৈরি করুন। এটি আপনার ব্যক্তিত্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি অন্যদের কাছে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। 

৮। প্রশংসা করুন 
অপরের কৃতিত্বের জন্য প্রশংসা করতে শিখুন। তাদের অর্জনকে হিংসা করতে যাবেন না। অন্যকে কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিতে পারে কেবলই একজন সঠিক ব্যক্তিত্ববান মানুষ। 

মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষেরা যে ১৩ টি কাজ করেন না

মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষদের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস থাকে। তারা তাদের আবেগ, চিন্তাভাবনা এবং আচরণকে এমনভাবে পরিচালিত করেন যাতে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। মানসিক শক্তি প্রায়ই আপনি কী করছেন তার প্রতিফলন ঘটায় না। সাধারণত আপনি যা করছেন না তাকেই দেখায়। অ্যামি মরিন তার “থার্টিন থিংস মেন্টালি স্ট্রং পিপল ডোন্ট ডু” বইটিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষরা যে কাজগুলো করেননা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। মানসিক ভাবে শক্তিশালী মানুষেরা যে কাজগুলো করেন না সে বিষয়ে জানলে আপনিও নিজের মানসিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারবেন। 

১। তারা দুঃখবোধ নিয়ে সময় নষ্ট করেন না মরিন লিখেছেন যে, “নিজের জন্য দুঃখিত অনুভব করা আত্মবিধ্বংসী হতে পারে”।  তিনি আরো বলেন, “পরিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকায় বাধার সৃষ্টি করে আত্মকরুণা”। এর ফলে সময় অপচয় হয়, নেতিবাচক আবেগ তৈরি হয় এবং সম্পর্কেরও ক্ষতি করে। তিনি লিখেছেন, “পৃথিবীর ভালো জিনিসগুলোকে শনাক্ত করতে শিখুন এবং তাহলেই আপনার যা আছে তার মূল্য উপলব্ধি করতে পারবেন”। আত্মকরুণার সাথে কৃতজ্ঞতার অদলবদল করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। 

২। তারা তাদের শক্তিকে পরিত্যাগ করেন না মরিন লিখেছেন, “মানুষ যখন শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে যায় তখন সে তার শক্তি হারিয়ে ফেলে”। আপনার প্রয়োজন নিজের পাশে নিজেই দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে সীমা নির্ধারণ করা। যদি অন্য কেউ আপনার কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে তারাই আপনার সাফল্য ও মূল্য নির্ধারণ করবে। তাই আপনার উচিৎ লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা। মরিন অপরাহ উইনফ্রে এর উদাহরণ  টেনে বলেন, তিনি নিজের ক্ষমতাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে পেরেছেন। তিনি দারিদ্রতা এবং যৌন নির্যাতনের মোকাবেলা করেই বড়  হয়েছেন। “তিনি তার নিজের ক্ষমতাকে বিসর্জন না দিয়ে জীবনে কী হতে চান সে বিষয়টিকেই চিহ্নিত করেছেন”। 

৩। তারা পরিবর্তনকে ভয় পান না মরিন লিখেছেন যে, পরিবর্তনের পাঁচটি স্তর আছে :  প্রাক-চিন্তা, চিন্তা, প্রস্তুতি, কাজ এবং টিকিয়ে রাখা। এই পাঁচটি ধাপকে অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তন  ভীতির সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু এর থেকে পালিয়ে বেড়ালে বৃদ্ধি প্রতিহত হয়। “যত বেশী সময় আপনি অপেক্ষা করে বসে থাকবেন ততই আপনার পক্ষে পাওয়া কঠিন  হবে”, তিনি বলেন, “এর মাঝে অন্যরা আপনাকে অতিক্রম করে যাবে”। 

৪। যা নিয়ন্ত্রণ করা যম্ভব নয় সে বিষয়ে তারা ফোকাস করেন না ‘সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকলে নিরাপদ অনুভব হয়, কিন্তু সবসময় সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এমন চিন্তা করাটাও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে” – মরিন এমনটাই লিখেছেন। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা উদ্বেগেরই একটি প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, “উদ্বেগ কমানোর প্রতি মনোনিবেশ করার চেয়ে আপনার চারপাশের পরিবেশকে  নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন”। আপনার পক্ষে যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় তার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিলেই আপনার সুখ বৃদ্ধি পাবে, স্ট্রেস কমবে, সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে, নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং অনেক বেশী সফল হতে পারবেন। 

৫। তারা সবাইকে খুশি করার চিন্তা করেন না আমরা প্রায়ই নিজেকে বিচার করি অন্যরা আমাদের কেমন ভাবে তার উপর, যা মানসিক বলিষ্ঠতার বিপরীত। মরিনের মতে, মানুষকে খুশি করার চেষ্টা সময়ের অপচয় মাত্র, খুব সহজেই মানুষকে খুশি করা যায়, অন্যরা রাগান্বিত বা হতাশবোধ করাটাও স্বাভাবিক এবং আপনি সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। অন্যদের খুশি  করার মানসিকতা দূর করতে পারলেই আপনি শক্তিশালী এবং অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবেন। 

৬। তারা প্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না মরিন বলেন, মানুষ প্রায়ই ঝুঁকি নিতে ভয় পায়- এটা হতে পারে আর্থিক, শারীরিক, আবেগীয়, সামাজিক অথবা ব্যবসা সংক্রান্ত ঝুঁকি। এটা নির্ভর করে তাদের জ্ঞানের উপর। মরিনের মতে, “ঝুঁকি নিরূপণের জ্ঞানের অভাবের কারণে ভয় বৃদ্ধি পায়”। কোন ঝুঁকি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নিজেকে প্রশ্ন করুন – সম্ভাব্য খরচ কত হবে? সম্ভাব্য লাভ কত? এটি আমার লক্ষ্য অর্জনে কীভাবে সাহায্য করবে? এর বিকল্প কী? পরিকল্পনাটি সফল হলে কতটুকু ভালো হবে? কী ধরণের খারাপ হতে পারে এবং এর ঝুঁকি কীভাবে কমানো যায়? পরিকল্পনাটি সফল না হলে কতটুকু খারাপ হতে পারে? পাঁচ বছরে এই সিদ্ধান্ত কতোটা কার্যকরী হতে পারে? 

৭। তারা অতীতকে নিয়ে বেঁচে থাকেন না অতীতে যা হয়ে গেছে তাকে পরিবর্তন করার কোন উপায় নেই। অতীতকে নিয়ে বাস করা আত্মবিধ্বংসী হতে পারে। মরিন লিখেন যে, “এটি বর্তমানকে উপভোগ করা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা থেকে বিরত রাখে”। এটি কোন কিছুরই সমাধান দিতে পারেনা এবং বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, অতীত নিয়ে চিন্তা করাটা উপকারী হতে পারে, অতীতের শিক্ষণীয় বিষয়টির প্রতিফলনের মাধ্যমে, আবেগের চেয়ে প্রকৃত অবস্থার প্রতি নজর দিলে এবং অতীতের পরিস্থিতিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে। 

৮। তারা একই ভুল বার বার করেন না অনুধাবনের মাধ্যমে ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়। মরিনের মতে, আপনার কী ভুল হয়েছিলো, কীভাবে এটি ভালো করে করা যেত এবং পরবর্তীতে এটাকে ভিন্নভাবে করা যায় কীভাবে – এই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা জরুরী। মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষেরা ভুলের দায়িত্ব স্বীকার করে নেয় এবং ভবিষ্যতে একই ভুল এড়াতে তা লিখে রাখে ও চিন্তাশীল পরিকল্পনা তৈরি করে। 

৯। তারা অন্যের সাফল্যে ক্ষুব্ধ হন না ক্ষোভ রাগের মতোই লুকিয়ে থাকে মনের গভীরে। মরিন বলেন, অন্যের সাফল্যের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করে রাখলে আপনার নিজের পথ সুগম হবে না। বরং আপনার নিজের পথ থেকেই আপনাকে সরিয়ে দেবে। এমনকি আপনি যদি সফল হয়েও যান, তাহলেও অন্যের প্রতি মনোযোগ নিবদ্ধ করে রাখলে নিজে সন্তুষ্ট হতে পারবেন না কখনোই। এছাড়াও এর ফলে আপনি হয়তো আপনার নিজের প্রতিভাকেই উপেক্ষা করে যাচ্ছেন এবং আপনার নিজের মান ও সম্পর্ক ও ত্যাগ করতে হতে পারে আপনাকে।   

১০। প্রথম পরাজয়েই তারা হার মেনে নেন না সাফল্য খুব তাড়াতাড়ি আসেনা এবং ব্যর্থতা এমন একটি বাধা যা আপনাকে অতিক্রম করে যেতে হবে। মরিন বলেন, “থিওডর গেইসেল যিনি ড. সিউস নামে পরিচিত তার প্রথম বইটি ২০ জনের মত প্রকাশকের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলো”। ড. সিউস এখন একটি সুপরিচিত নাম। ব্যর্থতাকে স্বীকার করে নিতে না পারলে বা আপনি যদি মনে করেন যে আপনি যথেষ্ট ভালো নন তাহলে তা আপনার মানসিক শক্তির প্রতিফলন ঘটায় না। মরিন বলেন, “ব্যর্থতার পরেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেলেই তা আপনাকে শক্তিশালী করবে”। 

১১। তারা একাকীত্বকে ভয় পায়না মরিন লিখেছেন যে, “একা থেকে চিন্তা করা আপনার জন্য শক্তিশালী অভিজ্ঞতা, যা আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে”। মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য “দৈনন্দিন ব্যাস্ততা থেকে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে আপনার ক্রম বিকাশের প্রতি ফোকাস করা প্রয়োজন”। মরিন তার বইয়ে নির্জনতার উপকারিতার একটি তালিকা করেন : অফিসে নির্জনতা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, একাকী সময় কাঁটালে আপনার সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়, একা সময় কাটানোর ফলে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, নির্জন দক্ষতা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, নির্জনতা পুনঃউপলব্ধি করতে সাহায্য করে। 

১২। তারা মনে করেন না যে বিশ্বও তাদের প্রতি ঋণী   আপনার ব্যর্থতার জন্য বিশ্বের প্রতি রাগান্বিত হওয়া সহজ। কিন্তু সত্যি হচ্ছে কেউ এর দায় নেয় না। মরিন বলেন,“জীবনে সব কিছুই ন্যায্য ভাবে হবে এমনটা ঠিক নয়”। মরিন লিখেন, “আপনার প্রচেষ্টার প্রতি ফোকাস করুন, সমালোচনা গ্রহণ করুন, আপনার ত্রুটিগুলো সম্পর্কে জানুন এবং গণনা করবেন না”। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না, এতে শুধু আপনার হতাশাই বৃদ্ধি পাবে। 

১৩। তারা খুব দ্রুত ফল আশা করেন না বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা পূরণ বা সাফল্য কোনোটাই রাতারাতি আসে না। মানসিকভাবে দুর্বল মানুষেরা প্রায়ই অধৈর্য হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “তারা তাদের সামর্থ্যের অতিরিক্ত অনুমান করে এবং পরিবর্তনে যে সময় প্রয়োজন তাকে অবমূল্যায়ন করে, তাই তারা দ্রুত ফল আশা করে”। পুরষ্কারের প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং আপনার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। চলার পথে ব্যর্থতা আসতেই পারে, কিন্তু আপনি যদি আপনার উন্নতিটুকুই পরিমাপ করেন এবং বড় লক্ষ্যের দিকে তাকান তাহলে সাফল্য ধরা দেবেই।

৫টি কৌশলে বাড়বে কথা বলার ক্ষমতা

ইন্ট্রোভার্ট মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা কম কম বলা। আপনি হয়তো ভাবছেন, কেউ কথা কম বলেন এর মাঝে দোষের কি আছে? বেশী কথা বলাই তো বরং বিরক্তিকর! বাচালতা কেইবা পছন্দ করেন? আপনার ভাবনা সঠিক। বিষয়টি আসলে বেশী কথা বলার নয়। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কথা বলা তো জরুরি তাই না?

অনেকেই আছেন যারা বন্ধুদের আড্ডায় কথা খুঁজে পান না। জরুরি কথাটি ঠোঁটের আগায় চলে আসে তবু মুখ ফুটে বলাই হয় না। আত্মবিশ্বাসের অভাব, সংকোচবোধ আমাদের সাবলিল কথা বলার শক্তিকে বাধাগ্রস্থ করে। আসুন জেনে সাবলীলতা ফিরে পাবার কৌশলগুলো। 

আয়না তুমি বন্ধু আমার

 আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার অনুশীলন করুন। আমরা যারা কথা কম বলি, কথা বলার সময় কী করে যেন মুখে একটা বিব্রতবোধ ফুটে ওঠে! আমরা হয়ত খেয়ালও করছি না, কিন্তু বদলে যায় আমাদের বডি ল্যাংগুয়েজ। এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে আয়নাবন্ধু। প্রথমে নিজের মুখোমুখি হন। নিজের কথাগুলো সংকোচহীন হয়ে নিজেকেই বলুন। একসময় অন্যদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রেও জড়তা কেটে যাবে আপনার।

পাশে আছে বন্ধুরাও

বন্ধুদের কাছে সহযোগিতা চাইতে পারেন। এতে সংকোচ বোধ করার কিছু নেই। আপনার অনেক বন্ধুই নিশ্চয়ই আছেন যারা আপনার মতই মন খুলে কথা বলতে চেয়েও পারেন না। আপনারা একটি গ্রুপ তৈরি করুন এবং নিজেরা প্রতিজ্ঞা করুন প্রতিদিন কথা বলার অনুশীলন করবেন। যেখানেই কথা বলতে যেয়ে সংকোচবোধ করবেন সেখানেই নিজের সাথে লড়াই করে চালিয়ে যাবেন কথা বলা। রোজ অন্তত ১০ বার আপনি সফলভাবে কাজটি করবেন এবং দিনশেষে বন্ধুরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। দিনে দিনে বেড়ে যাবে আত্মবিশ্বাস।  

পড়ার কোন বিকল্প নেই 

আপনার হয়ত মনে হতে থাকে আপনি যে কথাটি বলতে চাইছেন সেটা শুনে সবাই হেসেই উড়িয়ে দেবেন। অথবা আপনার কথার মূল্য কেউ দেবেন না। এই হীনমন্যতাবোধ কাটিয়ে উঠতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। আপনি যত পড়বেন তত জানবেন এবং আপনার জানাগুলোই আপনাকে নিজের উপর ভরসা করতে শেখাবে। আপনি যখন কোন কথাই না জেনে বা না বুঝে বলেন না তখন আপনাকে নিয়ে হাসাহাসির কোন প্রশ্নই নেই। জ্ঞান মানুষের ব্যক্তিত্বই বদলে দেয়। জ্ঞানী মানুষের কথা সবাই উন্মুখ হয়ে শোনেন। 

সংবাদ জানুন 

নেতিবাচক সব সংবাদ জানা জরুরি নয়। এতে আপনার স্ট্রেস বাড়তে পারে। তবে সংবাদ শুধু নেতিবাচক ঘটনারই হয় না। নতুন কিছু আবিষ্কার, নতুন কোন সৃষ্টির খবর পড়ুন। দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি সংক্রান্ত তথ্যগুলো জেনে রাখুন। একইসাথে রাখুন প্রযুক্তির খবরাখবর। আপনার যখন কথা বলার বিষয়েরই অভাব থাকবে না তখন কথা বলতে বা আড্ডায় যোগ দিতে কোন সংকোচও হবে না। নিজেকে রাখুন আপ টু ডেট। সবসময়।   আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অন্যতম শর্ত ভাল বক্তা হওয়া। আসর জমানো মানুষেরাই জনপ্রিয় হন। তাই সংকোচ ঝেড়ে ফেলে নিজেকে নিয়ে আসুন সামনের সারিতে। হয়ে উঠুন সাবলিল বক্তা। 


হাসিতে লুকিয়ে থাকে মনের যত কথা

প্রেম-ভালোবাসা, হিংসা থেকে শুরু করে অজানা সব কথা লুকিয়ে থাকে হাসির মধ্যে, হাসির ধরনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে মানুষের মনের সব কথা। তবে সুখ প্রকাশেই হাসির ব্যবহার বেশি দেখা যায়। অনেকেই আছেন যারা সিরিয়াস কথায়ও জোরে হেসে থাকেন। জোরে হাসির কারণে চারপাশের মানুষের কাছ থেকে দু’ চারটি গরম বাক্য শুনেছেন অনেকে। আবার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছেন যারা এ কারণে আপনাকে খোঁটা দিতে ছাড়েননি। এসব কারণে হয়তো অভ্যাস পরিবর্তন করার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভ্যাস তো আর একদিনে পরিবর্তন হয় না।   

মধ্য আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল মনোবিজ্ঞানী গবেষণায় দেখেন যে, হাসির ধরনের মধ্যে মানুষের মনের ভাব লুকিয়ে থাকে। যারা জোরে হাসেন তারা সাধারণত প্রাণখোলা, সরল ও উদার মনের মানুষ।   গবেষনায় তিনি আরো দেখতে পান, যারা হাসিতে কৃপন তারা সব কিছুতেই কৃপন হয়।     

তবে হাসি যেমন হোক না কেন মন ভালো রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে হাসির কোনো জুড়ি নেই।   হাসলে মুখ, বুক, পিঠ ও পেটের পেশি সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, সেই সঙ্গে রোগপ্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৈরি করে।   হাসি মনকে প্রফুল্ল ও সদা সতেজ রাখে ফলে হৃদরোগের সম্ভবনা অনেকাংশে কমে যায়। এছাড়া দুশ্চিন্তা ও একাকীত্ব কমিয়ে শরীরকে দেয় প্রশান্তি।   

কর্মব্যস্ত চলার পথে আমরা যদি কারো সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলি স্রষ্টার কাছে তা পুণ্যময় কর্ম হিসেবে গণ্য হবে।   হাসি শুধু মানুষের চোখ জুড়ায় না, মানুষের মনও জুড়ায়। মনকে প্রফুল্ল ও সদা সতেজ রাখতেই হোক আর ইবাদতের জন্য হোক নিয়মিত হাসুন।